দুআ করা কি খুব কঠিন?
অনেক সময় লাগে? অনেক কষ্ট হয়? ধরে নিন, আখেরাতে কেয়ামত-দিবসে আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করলেন, বান্দা! তুমি এই এই অন্যায়-পাপ কেন করেছিলে? এই হুকুমগুলো কেন পালন কর নি?
তখন আপনি বললেন, আয় আল্লাহ কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই কাজ করা আমার জন্য খুব মুশকিল ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।
তখন আল্লাহ যদি বলেন, তুমি আমার কাছে চাইলে না কেন? তুমি কি জানতে না, আমি কুরআনে বলে দিয়েছি, আমিই সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। তাহলে কেন আমার কাছে হিদায়েত চাইলে না! কেন চাইরে না আমার কাছে!?
তখন অন্তত এতটুকু তো বলতে পারবে, হে আল্লাহ! আমি চেয়েছিলাম। .
আমার শায়েখ বলতেন, আল্লাহর সাথে কথা বলো। এভাবে বলো, হে আল্লাহ আপনি আমাকে এটা করায়ে দিন, এটা থেকে হেফাজত করুন। আমাকে অমুক কাজের তাওফিক দান করুন। তা না হলে আমাকে ধরতে পারবে না। আমি আমাকে আপনার হাওয়ালা করে দিচ্ছি।
এটা দু অবস্থা থেকে খালি নয়। এক তো, আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করবেন। এবং অধিকাংশ সময় এটাই হয়।
নয়তো এতটুকু তো হবে যে, আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবেন, আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চেয়েছিলাম। তো এই ওসিলায় আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আল্লাহ তাওবার তাওফিক দিবেন আর তাওবার ওসিলায় সব মাফ হয়ে যাবে।
যাই হোক, আগে তো চাও। চাইলে তিনি দিবেন। তিনি তো দেওয়ার জন্য তৈরী। কিন্তু চাওয়ার মতোই লোক নাই। চায়ই না। চাওয়ার মধ্যে কোনো আশা-আকাংখাই নাই।
এই না চাওয়ার কারণে গাফলতের অবস্থায় এক নিয়ন্ত্রণহীন জীবন অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে আমাদের। তাহলে আর চিকিৎসা হবে কোন পথে। . হযরত শায়খ বলতেন, আল্লাহর সাথে কথা বলার সুরতে দুআ করো। ইনি তো তোমার আল্লাহ। তিনি তো কোনো অপরিচিত সত্তা নন। তিনি তোমাদের খালেক-মালেক। তোমাদের রব। তোমাদের পালনেওয়ালা।
কেন চাবে না! যত মুসিবত আসুক, তাঁর কাছে চাও। বলো, আল্লাহ! এই অবস্থা দূর করে দিন।
কী আর বলব আমি। কুরআন-হাদিসে চাওয়ার ব্যাপারে কত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে! অথচ প্রার্থনাকারীই নেই।
তো, রোজ হাশরে শূন্যহস্তে ওঠার চেয়ে কিছু তো নিয়ে উঠি। আমরা আমাদের জীবনকে রাসূলে কারিম সা.এর উসওয়াহ- উত্তম জীবনার্শের আলোকে যাচাই করি।
যে সুন্নতটা এখনো আমলে আসে নাই, তা আমলে আনার চেষ্টা করি।
রাতে বসে নিজের জীবনের নিরীক্ষা করি। সেই সাথে আল্লাহর কাছে বলতে থাকি, হে আল্লাহ! আমি আপনার রাসূলের জীবনাদর্শ অনুযায়ী নিজের জীবনকে সাজাতে চাই। আপনিই তাওফিক দান করুন। আমীন।
আরও পড়ুন…
Facebook Comments