সংকলন
আকিদা আব্দুল্লাহ আল মামুন

সালাফদের চোখে শিয়া সম্প্রদায় | শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন

রাস্তায় আবু বকর, উমর, উসমান, আয়েশা, হাফসা,মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুম দের নাম লিখে তার উপর হাটছে এই উগ্রবাদী নিকৃষ্ট শিয়ারা!
.
তারপরেও এই রাফেযী শীয়াদের সাথে ঐক্যের কথা বলা হবে!! এদের প্রতি যাদের সহমর্মিতা রয়েছে তারা তাদেরই দলভুক্ত। পৃথিবীর সর্ব নিকৃষ্ট জাতিদের অন্যতম এরা।
.
ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহঃ বলেন-
ويرون أن كفرهم أغلظ من كفر اليهود والنصارى .
এবং অনেক সালাফ এটা মনে করতেন যে, শীয়া ও রাফেযীদের কুফুরী ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের থেকেও নিকৃষ্ট।

[মাজমূউল ফাতাওয়া,ইবনু তাইমিয়াহ ৬/৪২১]
.
ইমাম মালেক রহঃ বলেন-
الذي يشتم أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ليس لهم اسم أو قال : نصيب في الإسلام .
“যারা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের গালি দেয় (বা নিন্দা করে) ইসলামের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই! অথবা বলেছেন- তাদের নসীবে ইসলাম জুটবেনা!”
(আস সুন্নাহ ২/৫৫৭- আবু বকর আল খল্লাল নিজ সনদে এটি বর্ণনা করেন।)
.
ইমাম খল্লাল ইমাম আবু বকর মারওয়াযীর সূত্রে বর্ণনা করেন-
سألت أبا عبد الله عمن يشتم أبا بكر وعمر وعائشة؟
আমি আবূ আব্দিল্লাহ (তথা ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহিমাহুমুল্লাহ) কে ঐসকল লোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম যারা আবু বকর, উমর ও আয়েশাহ রাদিআল্লহু তা’আলা আনহুম দের গালি দেয় তাদের কি হুকুম?
.
উত্তরে ইমাম সাহেব বললেন-
ما أراه على الإسلام
আমি তাদের মুসলিমই মনে করিনা!
[আস সুন্নাহ, খল্লাল ২/৫৫৭]
.
আব্দুল মালেক ইবনু আব্দিল হুমাইদ ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল থেকে বর্ণনা করেন-
من شتم أخاف عليه الكفر مثل الروافض ، ثم قال : من شتم أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم لا نأمن أن يكون قد مرق عن الدين.
যারা সাহাবীদেএ গালি দেয় ও নিন্দা করে তাদের ব্যাপারে আমি রাফেযীদের মত কুফুরীর আশংকা করছি। তারপর তিনি বলেন- যারা আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের নিন্দা করে তারা দ্বীনের গন্ডি থেকে বের হয়ে গিয়েছে।
[আস সুন্নাহ,খল্লাল ২/৫৫৮]
.
ইমাম সাম’আনী রহঃ বলেন-
واجتمعت الأمة على تكفير الإمامية ، لأنهم يعتقدون تضليل الصحابة وينكرون إجماعهم وينسبونهم إلى ما لا يليق بهم .
“উম্মত ইমামিয়া (বর্তমানে ইসনা আশারিয়া নামে খ্যাত) শিয়াদের তাকফীরের ব্যাপারে ইজমা করেছেন। কেননা তারা সাহাবীদের (সামষ্টিক ভাবে) পথভ্রষ্ট হওয়ার আকীদা রাখে, এবং তাদের ইজমা কে অস্বীকার করে, আর তাদের ব্যাপারে এমন বিষয় সম্পৃক্ত করে যা তাদের শানে শোভা পায়না।
[আল আনসাব ৬/৩৪১]
.
ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহঃ বলেন-
.. وأما من جاوز ذلك إلى أن زعم أنهم ارتدوا بعد الرسول صلى الله عليه وسلم إلا نفرا قليلا لا يبلغون بضعة عشر نفسا ، أو أنهم فسقوا عامتهم ، فهذا لا ريب أيضا في كفره لأنه مكذب لما نصّه القرآن في غير موضع : من الرضى والثناء عليهم ، بل من شك في كفر مثل هذا فإن كفره متعين …
“অনুরূপ যারা এই আক্বীদা রাখে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়াফাতের পরে মাত্র ১০/১১ জন সাহাবী বাদে সবাই মুরতাদ হয়ে গিয়েছেন, অথবা সামষ্টিক ভাবে তারা সকলে ফাসেক্ব হয়ে গিয়েছেন। কোন সন্দেহ নেই যে, এই ধরনের আক্বীদাহ পোষণ কারী স্পষ্ট কুফিরে লিপ্ত কেননা তারা কুরআনের স্পষ্ট নসের উপর মিথ্যারোপ করেছে, যেখানে আল্লাহ তা’আলা সাহাবীদের উপর সামষ্টিক সন্তুষ্টি ও প্রশংসার আলোচনা করেছেন। বরং যে এদের কুফুরীর উপর সন্দেহ করে তাহলে তার কুফুরী সুনিশ্চিত!!!……. ”

[আস সারেমুল মাসলূল আলা শাতীমির রাসূলঃ৫৮৬, এই কিতাবের সর্বশেষ পরিচ্ছেদ ]

Facebook Comments

Related posts

আকিদার মৌলিক বিষয়াদি : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে | হাবিব আফনান

সংকলন টিম

শিয়াদের কুফরের বাস্তবতা ও বিধান | রশিদ আহমদ লুধিয়ানবী রহ.

শাতিমে রাসুল এবং ফিকহে হানাফি | আব্দুল্লাহ বিন বশির

সংকলন টিম

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!