হাদিস শরিফে কোনো ওসিলা দিয়ে দুআ করার কথা বলা হয়েছে।
ওসিলা দিয়ে দুআ করার একটি তরিকা হলো, নেক আমলের ওসিলা দিয়ে দুআ করা। তা এভাবে যে, হে আল্লাহ! আমার এই আমলের ওসিলায় আমার দুআ কবূল করুন।
.
ওসিলা দেওয়ার আরেকটি তরিকা হলো, আমার নিকট তেমন কোনো আমল নেই। তবে আমি বলছি, হে আল্লাহ! আপনার ওমুক প্রিয় বান্দাকে আমি মুহব্বত করি। সেই মুহাব্বতের ওসিলা দিয়ে আপনার নিকট দুআ করছি।
এখন বলুন, দোনো ওসিলার মধ্যে কোনটা উত্তম হলো?
নিশ্চয় আল্লাহর প্রিয় বান্দার ওসিলা দিয়ে যে দুআ করা হলো সেটাই উত্তম।
প্রথম ওসিলায় যখন বলা হয় আমি আমার ওমুক আমলের ওসিলা দিয়ে দুআ করছি, তখন যেন নিজের আমলকে বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী সাব্যস্ত করা হয়। নিজের আমলকে বিরাট কিছু মনে করা হয়।
.
কিন্তু বান্দা যখন নিজের আমলের পরিবর্তে কোনো নেককার আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দার ওসিলা দিয়ে দুআ করে তখন যেন সে বলছে, হে আল্লাহ! আপনার নিকট পেশ করার মতো কোনো আমলই আমার নেই।
আমার কথা এতোটুকুই যে, ঐ আপনার প্রিয় বান্দার ওসিলায় আপনি আমার দুআ কবুল করুন।
.
আমার নিকট প্রথম প্রকারের চেয়ে এই প্রকারের ওসিলা উত্তম। কারণ, ওসিলার এই প্রকারের মাঝে রয়েছে নিজের দাসত্ব, তুচ্ছতা ও দীনতা, নিজের কমজোরি ও দুর্বলতার প্রকাশ।
আর আল্লাহ দুআর মাঝে কমজোরি ও অসহায়ত্বকে পছন্দ করেন।
Facebook Comments