নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَن صَلَّى الصُّبحَ فِي جَمَاعَةٍ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ
যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করে, সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকে। (মুসলিম, ৬৫৭)
অর্থাৎ, ফজরের সালাত আদায়কারীর নিরাপত্তা, তত্ত্বাবধান ও জামানত সবই স্বয়ং আল্লাহর যিম্মায়।
ফজরের সালাত আদায়কারীর জন্য এটি জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহপ্রদত্ত এক সুমহান নিরাপত্তা-ঘোষণা।
আপনি যদি ফজরের সালাত আদায় করে থাকেন। তাহলে আপনি আল্লাহর নিরাপত্তায় আছেন। আপনি যদি ফজরের সালাত দায় করে থাকেন , তাহলে সারাদিন এক অপার্থিব আস্থা ও নির্ভরতা অনুভব করবেন। দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সামনে, বিপদ ও মুসিবতের মোকাবেলায়, অত্যাচারী প স্বেচ্ছাচারীর সামনে এবং শক্তিধর ও প্রতাপশালীর সামনে আপনি অভাবনীয় দৃঢ়তা অনুভব করবেন।
কারণ, আপনিতো আছেন রাজাধিরাজ ও সৃষ্টিজগতের স্রষ্টার নিরাপত্তায়।
আপনার কিসের চিন্তা? আপনার কিসের ভয়?
এর চেয়ে বেশি আর কী চান?
আর এ সবকিছু মাত্র দু’রাকাত সালাতের বিনিময়ে।
(ফজর আর করব না কাজা, পৃ-৭৫/৭৬ – ড রাগিব সারজানি। মাকতাবাতুল হাসান)
হজরত আনাস (রা) বলেন, তোমরা এমন সব কাজ করে থাকো যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের থেকেও চিকন। কিন্তু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এগুলোকে আমরা ধ্বংসকারী মনে করতাম৷ (বুখারী ৬৪৯২)
প্রতিদিন কথা ও কাজে এমন কত কিছু হয়ে যায়, যা আমরা তুচ্ছ মনে করি। আমাদের অসতর্কতার কারণে হয়তো তা হয়ে যায় ভয়ানক কোনো ক্ষতির কারণ৷ বিশেষ করে রসিকতার ক্ষেত্রে অনেক সময় সীমালঙ্ঘন হয়ে যায়। কখনো আবার ‘কুফরে ইস্তেহযা’র কাছেও পৌছে যায়। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
কোন ধরণের কথাবার্তা দ্বারা কুফরে ইস্তেহযা হয় সে সম্পর্কে আলেমদের সান্নিধ্যে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করা দরকার। অনলাইন বা ফেসবুকের ক্ষুদ্র পরিসরে এই বিষয়ের আলোচনা সবকিছু স্পষ্ট করবে না। বরং ভুল বোঝার অবকাশ থাকে।
আল্লাহ সর্বাবস্থায় আমাদেরকে ঈমান হেফাজত করার তাওফিক দান করুক।
Facebook Comments