গুনাহ হলো কালো পর্দার মতো। এই কালো পর্দা বান্দার সাথে আল্লাহর দূরত্ব তৈরী করে দেয়। এই কালো পর্দা না সরালে বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় না। গুনাহের এই পর্দা সরে তওবার মাধ্যমে।
ইবনু কুদামা মাকদিসি রহিমাহুল্লাহ বলেন, তওবার জন্য তিনটি জিনিস দরকার। ইলম, অনুতপ্ততা, সংকল্প। এরপর তিনি এর কারণ ব্যখ্যা করেছেন এভাবে, গুনাহের কারণে সে আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এই কথার ইলমই যদি বান্দার না থাকে, তাহলে সে অনুতপ্ত হবে না। অনুতপ্ত না হলে সে আর ফিরেও আসবে না।
কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বারবার তওবার আদেশ করেছেন।
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা নুর ২৪:৩১ ]
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأتُوبُ إِلَيْهِ فِي اليَومِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً
আল্লাহর শপথ! আমি প্রত্যহ আল্লাহর কাছে সত্তর বারেরও বেশি ইস্তিগফার ও তওবা করে থাকি।’’ বুখারী ৬৩০৭।
ইবনু কুদামা মাকদিসি বলেন, সবসময় তওবা করা আবশ্যক। কারণ, আমরা কোনো না কোনো পাপে লিপ্ত হয়েই পড়ি। যদি আমাদের শরির গুনাহ থেকে পবিত্র থাকে তাহলে দেখা যায় অন্তর গুনাহ থেকে মুক্ত নয়। অন্তর গুনাহ থেকে মুক্ত থাকলে দেখা যায় শয়তানের নানা ওয়াসওয়াসা পেরেশান করে রাখছে। এসব থেকে মুক্ত থাকলে দেখা যাবে সময়টা কাটছে অলসতা, অবহেলায়। এটাও একজন মুসলিমের জন্য কাম্য নয়। আর তাই তওবার বিকল্প নেই। সবসময়, সব অবস্থায় তওবা আবশ্যক। (مختصر منهاج القاصدین)
Facebook Comments