সংকলন
শিয়া
আকিদা আব্দুল্লাহ বিন বশির

শিয়া: ইছনায়ে আশারিয়াদের বিধান | মুফতি সালমান মানসুরপূরি

মুফতি সালমান মানসুরপুরি দা.বা.। হযরত হুসাইন আহমেদ মাদানী রহ.-র মেয়ের ঘরের নাতি । দারুল উলুম দেওবন্দের উস্তাদ ক্বারি উছমান সাহেবের সুযোগ্য সন্তান। বর্তমান ভারতের শাহী মুরাদাবাদের প্রধান মুফতি এবং সময়ের সাড়া জাগানো ফাতওয়া গ্রন্থ ‘কিতাবুন নাওয়াযিল’-র লেখক। উক্ত কিতাবে শিয়াদের বিষয়ে বেশকিছু ফতোয়া আছে সেখান থেকে কিছু ফতোয়ার চুম্বকংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

এক.

শিয়াদের যে দল এই বিশ্বাসগুলো রাখে যেমন,

১. কুরআন বিকৃত হয়ে গেছে।
২. শায়খাইন তথা হযরত আবু বকর ও উমরা রা. সহ অধিকাংশ সাহাবারা কাফের হয়ে গেছে।
৩. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু উপর যিনার অপবাদ।

এরকম ফিরকা সন্দেহ ছাড়া কাফের। এই ধরনের ফিরকাকে কাফের বলা থেকে বিরত থাকা সঠিক নয় বরং এটা দ্বীনের মাঝে মুদাহানাতের অন্তর্ভুক্ত।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৪৯
==============

দুই.

শিয়াদের মধ্যেই অনেকগুলো ফিরকা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যে ফিরকা কুফরী আকিদা লালন করে; যেমন শায়খাইনের ‘সাহাবিয়্যাত’কে অস্বীকার করা, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর ব্যাপারে যিনার অপবাদ দেওয়া বা কুরআন বিকৃত হয়ে গেছে এরকম কোন বিশ্বাস রাখে তাদের কুফরির বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৪২
=============

তিন.

আজকাল অধিকাংশ যে শিয়া পাওয়া যায়, যাদেরকে ‘ইমামিয়া শিয়া’ বা ‘ইছনায়ে আশারিয়া’ বলা হয়; তারা তাদের কুফরী আকিদা ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছে। তাদের সাথে মুসলমানদের মতো আচরণ করা উচিত নয়। তাদের কিছু কুফরি আকিদা হলো—

১. শিয়ারা তাদের ইমামদের নিষ্পাপ মনে করে নবুওয়াতের মর্যাদা দেয়।
২. কুরআন বিকৃতির বিশ্বাস রাখে।
৩.আবু বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে গালিগালাজ করে।
৪ মুতার নাম করে যিনার মত অন্যায়কে হালাল বলে।

মোটকথা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনিত দ্বীনের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের আজান, নামাজ, রোজা এবং হজ্জ্ব সবকিছু আলাদা। তাদের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে কুফরী আকিদা ও মিথ্যা জাল হাদিসে ভরা। এই ধরনের আকিদায় বিশ্বাসীরা অবশ্যই কাফের এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৫৩-৫৪।
===========

চার.

বর্তমানে অধিকাংশ যে শিয়াদের অস্তিত্ব রয়েছে তারা হলো— ‘ইছনায়ে আশারিয়া’ তথা বারো ইমামে বিশ্বাসী আকিদার। শরয়ী আকিদার বিপরীতে তাদের অনেকগুলো কুফরি আকিদা থাকার কারণে এরা ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে গেছে৷ শিয়াদের সাথে মুসলমানদের কোনো শাখাগয় বিবেধ নয় বরং ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ। এই জন্যে শিয়াদের মুসলমানদের মধ্যে কোনো ফিরকা মনে করা মারাত্মক ভুল। যে দল খতমে নবুওয়াতের অস্বীকার করে, হযরত আয়েশা রা. ও সাহাবায়ে কেরামের অধিকাংশকে গালি দেয়, তাদের কুৎসা রটায় ও কাফের মনে করে এবং সমস্ত মুসলমানদের গোমরাহ মনে করে তারা কখনোই মুসলমানদের কোনো দল নয়৷

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৫১।
===========

পাঁচ.

‘ইছনায়ে আশারিয়া’ তথা বারো ইমামে বিশ্বাস এটা শিয়াদের নিজেদের তৈরি করা। তাদের নিকট এই আকিদা মূলত নবুওয়াতের একটি চলমান ধারা যেটাকে তারা ‘ইছমাত’ আর ‘ইমামাত’-র মত সুন্দর পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখতে চায়; যাতে ‘খতমে নবুওয়াত’-র অস্বীকারকারী এই কুফরি অপবাদ থেকে বাঁচতে পারে। …….

ইমামতের এই আকিদা ইসলামী আকীদার স্পষ্ট বিপরিত আকিদা। বারো ইমামে বিশ্বাসীদের অনেকগুলো কুফরি আকিদার একটি হলো—‘আকিদায়ে ইমামত’ তথা বারো ইমামে বিশ্বাস।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৫৭-৫৮।
================

ছয়.

যারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা রাখে তারা সুন্নী(১)। আর শিয়ারা হলো— স্বতন্ত্র একটি দল; যার অনেক শাখা-প্রশাখা আছে। বর্তমানে ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতা যাদের হস্তগত তারা ‘ইছনায়ে আশারিয়া’ তথা বারো ইমামে বিশ্বাসী(২)। যারা কুফরি আকিদার কারণে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছে। আয়াতুল্লাহ খোমেনীর কুফরি সালমান রুশদীকে হত্যার ঘোষণা ও তার অন্যান্য ভালো কথা-কাজ থেকে কিছুতেই ঢাকা পড়বে না। কারণ এই সমস্ত ঘোষণায় বাস্তবতা থেকেও উক্ত বিষয়গুলোকে বাড়িয়ে বলা হয়।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৫৯।
==================

সাত.

শিয়াদের ফিরকা ‘ইছনায়ে আশারিয়া’কে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের নির্ভর যোগ্য ওলামায়ে কিরাম কুফরী আক্বীদা কারণে কাফের বলেছে। তাই এই সমস্ত শিয়াদের সাথে মুসলমানদের মতো আচরন করা এবং কোনো ধরনের আত্মীয়তা-সম্পর্ক করা জায়েজ নয়। বরং অন্য ধর্মালম্বীদের সাথে যেমন আচরণ করা হয় তেমন ব্যবহার করবে।

সূত্র: কিতাবুন নাওয়াজিল ২/৬০
==============

[টিকা]

১] আহলুস সুন্নাহ ওয়াল আকিদা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার জন্যে মাওলানা সুলাইমান নদভি রহ.- ‘আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত’ বইটি পড়তে পারেন। যা কিছুদিন পূর্বে মুহতারাম মাওলানা মাহমুদ সিদ্দিকী অনুবাদ ও শায়খ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সম্পাদনায় নাশাত পাবলিকেশন থেকে বের হয়েছে।

২] ইরানের রাষ্ট্রধর্ম সম্পর্কে জানতে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=317635832912328&id=100039977421879

Facebook Comments

Related posts

ফিতনার উপলব্ধিঃ প্রথম পর্ব । আবদুল্লাহ বিন বশির

কেমন ছিল সালাফদের কুরআন তিলাওয়াতের ইশক|| আব্দুল্লাহ বিন বশির

সংকলন টিম

মাসিহে মাওউদ কল্পনাপ্রসূত এক ইহুদি মতবাদ | মাহদি হাসান কাসেমি

সংকলন টিম

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!