সংকলন
কারবালা
ইতিহাস ইমরান রাইহান

কারবালা ও ইয়াযিদ : বহুল প্রচলিত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর | ইমরান রাইহান

মহররম এলেই কিছু মানুষের সুপ্ত সাহাবা-বিদ্বেষ জেগে উঠে। আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসার নামে তারা আক্রমণ করে সাহাবিদের সম্মান ও মর্যাদার উপর। কথা শুরু হয় ইয়াযিদ থেকে, পরে আলোচনা ঘুরে যায় হজরত মুয়াবিয়া রা এর দিকে। খুলে যায় সাহাবা সমালোচনার দ্বার, স্রোতের মত অপবাদ ও মিথ্যাচার চলতে থাকে মুগিরা ইবনে শুবা, আমর ইবনুল আসের ব্যাপারে, এমনকি শেষে আলোচনা গিয়ে ঠেকে হজরত উসমান রা এর শাসনকাল নিয়ে। শিয়াদের লাগামহীন মিথ্যাচার, ওরিয়েন্টালিস্টদের প্রোপাগান্ডা, আকিদাবর্জিত ইতিহাসপাঠ সবকিছুর জগাখিচুড়ি মিলে তৈরি হয় সাহাবা-বিদ্বেষের রোগ। এই রোগ যাকে একবার পেয়ে বসে তার পক্ষে হেদায়াতের স্বাদ অনুভব করাই সম্ভব নয়।

 

এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা ইয়াযিদপ্রেমি নাসেবি নই, আবার সাহাবা-বিদ্বেষি রাফেজিও নই। ইয়াজিদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সেটিই যা হজরত নুমান বিন বশির রা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাহদালের নাতির চেয়ে নবিজির নাতি আমাদের অনেক বেশি প্রিয়[1]। ইয়াজিদের প্রতি আমাদের কোনো ভালোবাসা নেই, সে শুধু কারবালার খলনায়ক নয়, তার হাতে লেগে আছে হাররার ঘটনার রক্ত। মদিনা লুণ্ঠনের অপরাধে অপরাধী সে। তার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সেটিই যা আল্লামা আব্দুর রশিদ নুমানি (র) ইয়াজিদ কি শখসিয়্যত আহলে সুন্নত কি নজর মে গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যার মত আমরাও বিশ্বাস করি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে কখনো ইয়াজিদ কিংবা তার মত শাসকদের পক্ষে অবস্থান করতে পারে না[2]। কিন্তু আমরা কখনো ইয়াজিদের দোষ হজরত মুয়াবিয়া (রা) উপর চাপাই না। আমরা ইয়াজিদের পক্ষ নেই না, আবার ইয়াজিদ বিরোধিতার ভান করে সাহাবিদের সম্মানে আঘাতও করি না। আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সেই ভারসাম্যপূর্ন পথ অবলম্বন করি যা নাসেবিয়ত ও রাফেজিয়ত এর মাঝামাঝি অবস্থান করে।

 

মহররম এলে রাফেজি, ছুপা রাফেজি ও সুযোগ সন্ধানী সেক্যুলারদের নানা প্রোপাগান্ডায় অনেক সময় দ্বিনি ঘরানার অনেকেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এজন্য এই লেখায় এমন কিছু অপপ্রচারের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা করছি।

অভিযোগ ১ – হাসান (রা) ও মুয়াবিয়া (রা) এর মাঝে সংঘঠিত চুক্তিতে হুসাইন রা কখনো সন্তুষ্ট ছিলেন না। এবং হজরত মুয়াবিয়া এই চুক্তি ভঙ্গ করেন।

জবাব – হাসান রা এর অসন্তুষ্টির বিষয়ে যে কয়েকটি বর্ননা পাওয়া যায় সেগুলো খুবই দূর্বল। বিশুদ্ধ বর্ননা থেকে জানা যায় হুসাইন রা এই চুক্তির পক্ষেই ছিলেন। হজরত মুয়াবিয়া রা এর সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। হজরত মুয়াবিয়া রা এর পাঠানো হাদিয়াও তিনি গ্রহণ করতেন[3]। এমনকি হাসান রা এর ইন্তেকালের পরেও হুসাইন রা দামেশকে আসা যাওয়া করতেন। ৫১ হিজরিতে হজরত মুয়াবিয়া রা প্রেরিত কনস্টান্টিনোপল অভিযানেও তিনি অংশ নেন[4]। হজরত মুয়াবিয়া (রা) কখনোই চুক্তি ভঙ্গ করেননি। এমনকি শিয়া ইতিহাসবিদ আবু হানিফা দিনাওয়ারিও এটি স্বীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন, মুয়াবিয়া রা যতদিন বেঁচে ছিলেন হাসান রা ও হুসাইন রা কে নিজেদের হকের বিষয়ে নেতিবাচক কিছু দেখতে হয়নি। মুয়াবিয়া রা কখনোই নিজের অঙ্গীকারের পরিপন্থী কিছু করেননি[5]।

আবু হানিফা দিনাওয়ারি শুরুর দিকের একজন শিয়া ইতিহাসবিদ। তিনি ২৮২ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন, অর্থাৎ তিনি ইমাম তবারিরও আগের মানুষ। স্বীয় গ্রন্থে তিনি অন্য আরেকটি বর্ননাও এনেছেন যা থেকে জানা যায়, একবার হজরত হুসাইন রা কে বলা হয় আপনি কুফাকে কেন্দ্র বানিয়ে হজরত মুয়াবিয়ার বিরোধিতা করুন। তিনি জবাব দেন আমি অঙ্গীকার করেছি, তাই এমন করবো না কখনো[6]।

অভিযোগ ২ – হাসান রা কে তাঁর স্ত্রী জাদাহ বিনতে আশআস কিন্দি বিষপ্রয়োগে হত্যা করে। এতে মুয়াবিয়া রা ও ইয়াজিদ দুজনেরই হাত ছিল।

জবাব – এখানে মৌলিক কথা হলো হাসান রা এর ইন্তেকাল বিষপ্রয়োগে হয়েছে এটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। অপরদিকে যারা বিষপ্রয়োগে নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তারাও খুনির বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। হজরত মুয়াবিয়া রা কিংবা ইয়াজিদের নাম আসার তো প্রশ্নই আসে না।

বর্ননা গুলোর অবস্থা সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক।

১। ইবনু জারির তবারি ও খতিব বাগদাদি বিষপ্রয়োগ সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি।

২। ইবনু হাজার আসকালানি ও হাকেম আবু আবদিল্লাহ নিশাপুরি বিষপ্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন কিন্তু এর সাথে কাউকেই জড়াননি।

৩। ইবনুল আসির বিষপ্রয়োগের সাথে জাদাহ বিনতে আশআসকে সম্পৃক্ত করেছেন, আর কারো কথা উল্লেখ করেননি।

৪। বিষপ্রয়োগের সাথে হজরত মুয়াবিয়া রা কে সম্পৃক্ত করে প্রথম বর্ননা এনেছেন শিয়া লেখক মাসউদি ও আবুল ফারাজ ইস্ফাহানি। দুজনই চরম মিথ্যুক হিসেবে পরিচিত। তারা ঘটনার কয়েক শতাব্দী পরের মানুষ এবং ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন কোনো সনদ ছাড়াই।

৫। ইবনুল জাওযি প্রথম সনদসহ বিষপ্রয়োগের বিষয়ে ইয়াজিদকে দোষারোপ করেন, কিন্তু তার সনদটি আপত্তিমুক্ত নয়।

৬। হিজরি সপ্তম শতাব্দিতে ইবনু আবি উসাইবা তার গ্রন্থে তারিখুত তাবারির উদ্ধৃতি দিয়ে এই ঘটনা উল্লেখ করে মুয়াবিয়া রা কে দোষারোপ করেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো তারিখুত তাবারিতে এমন কোনো বর্ননাই নেই।

৭। ইবনু আবদিল বার বিষপানের বিষয়ে জাদাহকে সম্পৃক্ত করেছেন। এরপর লিখেছেন, কেউ কেউ বলে হজরত মুয়াবিয়ার ইশারায় এটি হয়েছিল।

৮। আবুল ফিদা হজরত মুয়াবিয়া রা কে দোষারোপ করেছেন।

৯। জালালুদ্দিন সুয়ুতি ইয়াজিদকে দোষারোপ করেছেন।

লক্ষ্যনিয় বিষয় হলো হজরত মুয়াবিয়া রা ও ইয়াজিদকে ঘিরে যে সকল বর্ননা তার সবই পাওয়া যাচ্ছে হিজরি চতুর্থ শতাব্দী কিংবা তার পরে। আবার কোনোটিই বিশুদ্ধ বর্ননা নয়। প্রশ্ন উঠে মাঝের সময়ের ইতিহাসবিদরা বর্ননাটি আনলেন না কেন? এর স্বাভাবিক উত্তর হয় বর্ননাটি পরে বানানো হয়েছে কিংবা এটি এত দূর্বল ছিল যে ইতিহাসবিদরা মূল্য বিষয়টি ধরতে পেরে তা থেকে বিরত থেকেছিলেন।

এসব দিক বিবেচনা করেই ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা[7], ইবনে খালদুন[8], ইবনে কাসির[9] প্রমুখ এই ঘটনার সত্যটা অস্বীকার করেছেন। সচেতন ও প্রাজ্ঞ ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচিত ইমাম যাহাবী এই ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, এটি সঠিক নয়[10]।

হাসান রা এর ইন্তেকালের পর তার জানাজা পড়ান মুয়াবিয়া (রা) কর্তৃক মদিনায় নিযুক্ত গভর্নর সাইদ ইবনুল আস রা। হুসাইন রা নিজেই তাকে নামাজ পড়াতে বলেন[11]। যদি সত্যিই হজরত মুয়াবিয়া রা বিষপ্রয়োগ করতেন তাহলে হুসাইন রা কেন তার নিযুক্ত গভর্নরকে ইমামতি করতে বলবেন? অপরদিকে একাধিক বিশুদ্ধ বর্ননা থেকে জানা যায় হাসান রা এর ইন্তেকালের পরে সাইয়েদরা হজরত মুয়াবিয়া রা এর দরবারে এসেছেন এবং হাদিয়া গ্রহণ করেছেন[12]। হাসান রা এর স্ত্রীর ব্যাপারেও এই অভিযোগ সত্য নয়। খোদ বনু হাশেমের লোকদের আচরণ দেখলেই এটি বুঝা যায়। হাসান রা এর ইন্তেকালের পর জাদাহকে বিয়ে করেন আবদুল্লাহ ইবনে আবাসের ছেলে আব্বাস[13]। যারা অপপ্রচার চালায় তারা এই বিষয়গুলো কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?

 

অভিযোগ ৩ – মুয়াবিয়া রা এর নির্দেশে আলি রা কে গালমন্দ করা হত। এমনকি খতিবদের বাধ্য করা হয় মসজিদের মিম্বরে বসে আলি রা কে গালমন্দ করতে।

জবাব – মুয়াবিয়া রা কখনো আলি রা এর গালমন্দ করেননি, কিংবা কাউকে নির্দেশও দেননি। তার গভর্নরদের মধ্যে সবাই এই কাজ করেছে এমনও নয়। অবশ্য অতি উৎসাহী মারওয়ান এই কাজে অগ্রগামী ছিল। বেশকিছু সহিহ বর্ননা থেকে জানা যায় সে নিজেও গালমন্দ করেছিল এবং অন্যদেরকেও উৎসাহ দিতে[14]। মুয়াবিয়া রা গালমন্দ করেছেন এই মর্মে যত বর্ননা আছে কোনটাই ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে মুসলিমের একটি বর্ননা থেকে জানা যায় একবার তিনি সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস রা কে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনি আলি রা এর সমালোচনা করেন না কেন[15]? ইমাম নববি এই হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, এখানে এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি আলি রা কে সমালোচনা করতে বলেছেন। বরং তিনি শুধু সমালোচনা না করার কারণ জিজ্ঞেস করেছেন[16]। মনে রাখতে হবে সাদ রা কিন্তু জংগে সিফফিনে কোনো দলেই অংশ নেননি, তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। অপরদিকে তার আশপাশের অনেকেই আলি রা কে গালমন্দ করতো। ইমাম নববির মতে হজরত মুয়াবিয়া সম্ভবত এই বিষয়েই জিজ্ঞেস করেছিলেন, যে আপনি কি শরয়ী সতর্কতার কারণে এই কাজ থেকে বিরত আছেন নাকি অন্য কোনো কারণে। সাহাবিদের মাঝে সম্পর্ক ছিল খুবই খোলামেলা ও সহজ সরল। ফলে এ ধরণের আলোচনা থেকে ভিন্ন অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই।

 

অভিযোগ ৪ – মুয়াবিয়া রা মৃত্যুশয্যায় ইয়াজিদকে চারজন সাহাবির বিষয়ে কঠোর হওয়ার অসিয়ত করেন।

জবাব – আবু মিখনাফের মত চরম মিথ্যুক বর্ননাকারির সূত্রে ইবনু কাসিরসহ অনেকে এই বর্ননা এনেছেন। মজার ব্যাপার হলো মুয়াবিয়া রা এর ইন্তেকালের সময় ইয়াজিদ দামেশকেই ছিল না, এমনকি সে এসে জানাজাও পায়নি। তাহলে অসিয়ত করলেন কীভাবে? দ্বিতীয়ত, কথিত এই অসিওয়তে আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকরের কথা আছে, অথচ মুয়াবিয়া রা এর ইন্তেকালের চার বছর আগেই তিনি মারা যান। অসিয়তে আছে আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইরের উপর কঠোর হওয়ার নির্দেশ , অথচ কয়েক বছর সময় পেলেও হজরত মুয়াবিয়া রা নিজেই তার উপর কখনো কঠোর হননি।

 

অভিযোগ ৫ – তিনি অযোগ্য ছেলে ইয়াজিদকে ক্ষমতায় বসান। এতে তাকে ইন্ধন দেন মুগিরা ইবনে শোবা রা। তিনি নানা অঞ্চলে অর্থ পাঠিয়ে মানুষের কাছ থেকে বাইয়াত আদায় করেন।

জবাব – ইয়াজিদের মনোনয়নের সাথে মুগিরা ইবনে শোবাকে জড়িয়ে যা বলা হয় সবই মিথ্যাচার। কারণ ইয়াজিদকে অলি আহদ ঘোষণা করা হয় ৫৬ হিজরিতে, অপরদিকে মুগিরা ইবনে শোবা ইন্তেকাল করেন ৪৯ বা ৫০ হিজরিতে[17]। ইয়াজিদের বাইয়াত গ্রহণের জন্য ঘুষ পাঠানোর বর্ননাগুলো হয় বানোয়াট নয় দূর্বল। ইমাম বাইহাকি একটি বর্ননা এনেছেন যা থেকে জানা যায় একবার মুয়াবিয়া রা আবদুল্লাহ ইবনে উমরকে এক লাখ দিরহাম পাঠান। ইবনে উমর উপস্থিতদের লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা কি একে ঘুষ মনে করছো[18]? এখানে স্পষ্টতই ইবনে উমর একে ঘুষ মনে করেননি, করলে তিনি গ্রহণই করতেন না, বরং তিনি উপস্থিতদের দ্বিধা দেখে কথাটা বলেছিলেন। তাছাড়া এই দিরহাম গ্রহণ করলেও মুয়াবিয়া রা এর জীবদ্দশায় তো তিনি ইয়াজিদকে বাইয়াত দেননি। মুয়াবিয়া রা এর ইন্তেকালের পর যখন প্রায় সবাই বাইয়াত দিলও ইয়াজিদকে তখন তিনি বাইয়াত দেন। মনে রাখতে হবে, মুয়াবিয়া রা নিয়মিতই সাহাবিদেরকে হাদিয়া পাঠাতেন। এটা শুধু ৫৬ হিজরির পরের কথা নয়। বরং ৪০ হিজরির পর থেকেই তিনি এই কাজ করে আসছিলেন। ৫৬ হিজরির পর তিনি ইয়াজিদের বাইয়াত প্রসঙ্গে অনেকের সাথে আলোচনা করেন। তখনো তিনি হাদিয়া পাঠানো বন্ধ করেননি। এই সুযোগটিই নিয়েছে রাফেজিরা। তারা দেখাতে চেয়েছে এসব হাদিয়ার পেছনে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল, যা সম্পূর্ন বানোয়াট কথা।

 

আলোচনা শেষ করছি আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারকের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে। একবার তাকে জিজ্ঞেস করা হয় হজরত মুয়াবিয়া রা ও উমর ইবনু আবদিল আজিজের মধ্যে কে উত্তম। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, নবিজির সাথে চলার সময় হজরত মুয়াবিয়ার নাকে যে ধুলো ঢুকেছিল তাও উমর ইবনু আবদিল আজিজের চেয়ে হাজারগুণ উত্তম। (১৯)

টীকা

[1] ইয়াজিদের নানা বাহদাল ছিলেন সিরিয়ার একটি গির্জার ব্যবস্থাপক।

[2] মাজমুউল ফাতাওয়া, ৪/৪৮৪।

[3] তারিখু মাদিনাতি দিমাশক, ৫৯/১৯৪।

[4] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৫০।

[5] আখবারুত তিওয়াল, ২২৫।

[6] প্রাগুক্ত, ২২১।

[7] মিনহাজুস সুন্নাহ, ২/২২৫।

[8] তারিখে ইবনে খালদুন, ২/১৩৯।

[9] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৪৩।

[10] তারিখুল ইসলাম, ২/৩৪২।

[11] উসদুল গাবাহ, ২/১৫।

[12] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১০/১৭৭।

[13] আত তবাকাত, ৫/৩১৫।

[14] নাসেবিয়ত প্রভাবিত অনেকে আবার মারওয়ানকেও রক্ষা করতে তৎপর হয়ে উঠেন। নানা যুক্তিতর্ক টেনে তাড়া প্রমাণ করতে চান মারওয়ান এই কাজ করেনি।

[15] সহিহ মুসলিম, ৬২৭২।

[16] শারহু মুসলিম, ১৫/১৭৫।

[17] দেখুন, ফাতহুল বারি, ১/১৬৮। উসদুল গাবাহ, ৩/৪০। তাহযিবুল কামাল, ২৮/৩৭৪।

[18] আস সুনানুল কুবরা, বর্ননা নং -৬৬৩২।

১৯। ওফায়াতুল আইয়ান, ৩/৩৩।

(প্রথম পর্ব সমাপ্ত)

 

Facebook Comments

Related posts

কাজী শুরাইহ বিন হারিস (রহ.) | ইমরান রাইহান

সংকলন টিম

সমকালীন জনজীবনে সালাফদের প্রভাব: পর্ব -১ | ইমরান রাইহান

সংকলন টিম

হাজিব আল মানসুর | যে সেনাপতি পরাজিত হননি একটি যুদ্ধেও

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!