অন্তর পবিত্র রাখার জন্য চারটি অঙ্গ পবিত্র রাখা জরুরি। এই চারটি অঙ্গ হলো দরজার মত। এগুলো দিয়ে যদি নাপাকি প্রবেশ করে তাহলে অন্তর নাপাক হয়ে যাবে। এইজন্য এই চার প্রবেশপথের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে৷ অঙ্গ চারটি হলো-
১. দৃষ্টি
২. জবান
৩. কান
৪. মস্তিষ্ক
১। দৃষ্টি
নিম্নোক্ত তিন কাজ করলে দৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর পাক হবে । নাপাক হবে না
- দৃষ্টি নিচের দিকে রাখা৷
- অন্যের সম্পদে দৃষ্টি না দেওয়া।
- বেগানার দিকে তাকানো থেকে বেঁচে থাকা৷
২. জবান
- কম কথা বলা।
- অশ্লীল কথা পরিহার করা।
- তিলাওয়াত করা।
- যিকর ও দোয়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা৷
৩. কান
- গীবত না শোনা।
- গানবাজনা শোনা পরিহার করা৷
- অশ্লীল কথা শোনা থেকে বেঁচে থাকা।
৪. মস্তিষ্ক
- গুনাহের কথা চিন্তা না করা
- কারো ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা করা থেকে বিরত থাকা।
- নেক কাজের পরিকল্পনা করা।
- উম্মাহর চিন্তায় চিন্তিত হওয়া।
(মাওলানা সালমান সাহেবের ইসলাহী মজলিস থেকে চয়ন করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমলের তৌফিক দিক। আমিন)
কলিংবেল বেজে উঠলো। দরজার সামনে দাঁড়ালেন। পিপ হোলে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। জিজ্ঞেস করলেন কে? জবাব এল, আমি। আপনি ভাবনার সাগরে ডুব দিলেন। কে এই আমি। কন্ঠটা কার সাথে মিলে। বিরক্তও হলেন। যিনি এসেছেন তিনি নাম বললেই পারতেন।
এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই হয়। কেউ কেউ তো বিরক্তি প্রকাশও করে ফেলেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে এ বিষয়ে চমৎকার নির্দেশনা দিয়েছেন। সহীহ বুখারিতে এসেছে, হজরত জাবের (রা) বলেন,
‘আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরজায় করাঘাত করলে তিনি ভিতর থেকে বললেন, কে? আমি উত্তর দিলাম, আমি। তখন নবিজি দুবার বললেন, আমি, আমি। যেন তিনি তা অপছন্দ করলেন। (বুখারী)
এজন্য দেখা যায়, সাহাবায়ে কেরামকে যখন জিজ্ঞেস করা হত, কে? তখন তারা স্পষ্টভাবে নিজের পরিচয় দিতেন।
আবু জর (রা) বলেন,
‘আমি এক রাতে বের হয়ে দেখি নবিজি একাকি হাটছেন। তখন আমিও তাঁর সাথে চাঁদের আলোতে হাঁটতে থাকি। নবিজি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, কে তুমি? আমি উত্তর দিলাম, আমি আবু জর। (বুখারী)
বিষয়টি ছোট। কিন্তু অসতর্কতার দরুণ এটিই অন্যের মানসিক কষ্টের কারণ হয়। আল্লাহ আমাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার তাওফিক দিন।